অত্যধিক গরম থেকে বাঁচতে গাড়ির কাচে এই ফিল্ম লাগাচ্ছেন তো। দেখতেই পেলেই গাড়ি থামিয়ে দেবে পুলিশ। traffic challan ভরতে হবে 1,000 টাকা। গ্রীষ্মকাল শুরু হতে না হতেই এই চিত্র দেখা গিয়েছে গাড়ি কাচে এই জিনিস লাগালে বড় জরিমানা।
চার চাকার কাচে ব্ল্যাক ফিল্ম বা ডার্ক ফিল্ম লাগানো ভারতে নিষিদ্ধ। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই এই কাজ করতে শুরু করেছেন। এটির বেশ কিছু ফায়দা রয়েছে। যেমন সূর্যের তাপ ভিতরে আসতে বাধা দেয় এই ব্ল্যাক ফিল্ড। যার ফলে এসির কুলিং আরও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু, এটি ইনস্টল করতে গিয়ে ট্রাফিক নিয়ম ভুলে যাচ্ছেন মানুষজন। ইতিমধ্যে হরিয়ানা পুলিশ এই মর্মে অভিযান শুরু করেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ে সতর্ক করছে পুলিশ। ব্ল্যাক ফিল্ম শুধু মুছে ফেলা হচ্ছে না, সেই গাড়ির বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে traffic challan বের করা হচ্ছে যারা এই ধরনের ব্ল্যাক ফিল্ম লাগাচ্ছেন গাড়িতে।
কত টাকা জরিমানা?
ব্ল্যাক ফিল্ম বা গ্লাস লাগানো মানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা। এই ভুলের ফলে 10,000 টাকা traffic challan দিতে হতে পারে। পাশাপাশি সেটি মুছেও ফেলা হবে। বাজারে এই ব্ল্যাক ফিল্ম লাগানোর খরচ 200 টাকা থেকে 300 টাকা। কিন্তু, 200 টাকার জন্য আপনাকে কয়েক হাজার টাকার চালানের মুখে পড়তে পারেন।
নিয়ম কী বলছে?
2012 সালে 19 মে সরকারের তরফে এই নিয়ম নিয়ে আসা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতে সামনে ও পিছনের গ্লাসের যে উইন্ডশিল্ড রয়েছে তার দৃশ্যমান্যতা 70 শতাংশ এবং 50 শতাংশ থাকা দরকার। দৃশ্যমান্যতা যদি এর থেকে কম হয় তাহলে তা আইনত দণ্ডনীয়। কারণ ব্ল্যাক ফিল্ম উইন্ডশিল্ডের দৃশ্যমান্যতা কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও গাড়ির দৃশ্যমান্যতা কমে গেলে তা গাড়ির সুরক্ষার জন্য বড় ঝুঁকি। কারণ এর ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে দৃশ্যমান্যতার উপর জোর দেওয়া হয়।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, 2019 সালে এই নিয়ম ভাঙার অপরাধে 2.64 কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে সরকার। তাই এই মর্মে গাড়ি চালকদের সতর্ক করা শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ। 2019 সালের তুলনায় রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে নিয়ম মানার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা উদ্বেগজনক।
গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে যদি এমন ফিল্ম বা স্টিকার লাগাইয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত সেটি মুছে ফেলুন। সরকারের তরফে স্পষ্টত বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দেখতে পেলে গাড়ি থামিয়ে আপনার থেকে জরিমানা করতে পারে। পাশাপাশি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে।
আরও বিশদে জানতে ক্লিক করুন এই Link এ